মা দিবস থেকে শুরু করে ভালোবাসা দিবস পর্যন্ত- বছরের ৩৬৫টা দিনের প্রতিটা দিনকেই মানুষ কোন না কোন বিশেষ দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে। পালন করছে পুরো পৃথিবীব্যাপী। তবে আপনি কি জানেন যে এই দিবসগুলো অবলীলায় অনেকে পালন করে গেলেও এর টুকিটাকি কিছু তথ্য বাদে অনেক জরুরী কিছুই জানে না তাদের অধিকাংশই। আর এই এই অনেক জরুরী কিছুর ভেতরে রয়েছে এমন অনেক অদ্ভূত আর মজাদার তথ্য যেগুলো শুনলে অন্য কেউ কেন, অবাক হবেন আপনিও। চলুন তাহলে জেনে নেই সেগুলোকে।
১. মা দিবসকে ঘৃণা করতেন এর উদ্ভাবক
মা দিবস সম্পর্কে কথা বলতে গেলে জারভিস নামক এক নারীর কথা প্রথমেই চলে আসে, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে একটা সময় গিয়ে সবাই মা দিবসকে এক বিশেষ দিনে, মে মাসের ২য় রবিবার পালন করতে শুরু করে। তবে আপনি কি জানেন এই প্রচন্ড শক্তিশালী মনের অধিকারী মানুষটিই পরবর্তী জীবনে গিয়ে প্রচন্ডভাবে ঘৃণা করতে শুরু করেন এই দিবসকে যখন কিনা তার ভালো আর নির্দোষ এই উদ্যোগকে পুরো আমেরিকা ব্যবসায় পরিণত করে ফেলে। মৃত্যুর আগের দিন অব্দি তাই নিজের তৈরি এই দিবসটির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করতে দেখা যায় জারভিসকে।
২. ভালোবাসা দিবসে মারা যান সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন
যে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা মনে করে আর তার ভালোবাসার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বছরের পর বছর ধরে আরো অনেকের মতন আপনি, আমিও পালন করে আসছি ভালোবাসা দিবসকে, আপনি কি জানেন যে সেই দিবসটি আদতে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদিন? তবে কেবল মৃত্যুদিন বললে ব্যাপারটার ভয়াবহতা আর নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাবে না। বলা উচিত এই দিনই মারতে মারতে মেরে ফেলা হয় ভ্যালেন্টাইনকে। হয়তো তাকে মনে রেখেই উদযাপিত হয় দিবসটি। তবে এর পেছনে রয়েছে ঠিক ঐদিনেই মরে যাওয়া সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মার চিত্কারও!
৩. বাবা দিবসের ব্যবসায়িক প্রচারণা
নিশ্চয়ই ভাবছেন, মা দিবসের ব্যবসায়িক প্রচারণায় যেমন ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এর উদ্ভাবক, ঠিক তেমনিই বাবা দিবসের প্রচারণাকে নিয়ে কষ্ট পেয়েছিলেন এর উদ্ভাবক সনোরা স্মার্ট ডড ও? কিন্তু বাস্তবে কিন্তু এর পুরো উল্টোই ছিল বাবা দিবসের গল্পটা। আপনি কি জানেন যে, প্রথম দিকে বাবা দিবসকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হুইস্কি থেকে শুরু করে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকেই ব্যবসায়িক প্রচারণা চালানোর জন্যে অনুরোধ করেন সনোরা। যদিও মা দিবসের মতন এত তাড়াতাড়ি বাবা দিবস জনপ্রিয় হয়নি পৃথিবীর মানুষের কাছে।
No comments:
Post a Comment