কিছু বিশেষ বিষয় আছে যেগুলো ভালো ঘুমে সহায়ক। কিছু অভ্যাস বর্জন এবং কিছু অভ্যাস গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার ঘুমটা হতে পারে একদম গভীর। জেনে নিন ঘুমে সহায়ক কিছু বিষয় সম্পর্কে।
বিকেলের পর চা/কফি না খাওয়া
চা/কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন ঘুম তাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের ঘুমে সমস্যা আছে তাদের ঘুমানোর আগে চা কফি না খাওয়াই ভালো। এমনকি বিকেলের পর থেকে চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা ত্যাগ করাই ভালো। কারণ বিকেলের পড়ে খাওয়া চা বা কফি রাতের ঘুমের ক্ষতি করে।
বেডরুমে ঘুমের পরিবেশ আনুন
বেডরুমকে করে তুলুন ঘুমানোর উপযোগী। পরিষ্কার বিছানার চাদর বিছিয়ে দিন। রুমের পর্দাগুলো সব টেনে বাতি নিভিয়ে দিন। একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ভীতি থাকলে নাইট বাল্ব জ্বেলে নিতে পারেন। এতে সহজে ঘুম এসে পড়বে। বেডরুমে টিভি রাখবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। প্রয়োজনে হালকা মিউজিক ছেড়ে দিতে পারেন। এতে মন প্রশান্ত হবে এবং তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
ক্লান্ত না হয়ে বিছানায় যাবেন না
ক্লান্ত না হয়ে কখনই বিছানায় যাওয়া ঠিক না। দিন শেষে একরাশ ক্লান্তি যখন আপনার দুচোখে ভর করবে, তখনই কেবল বিছানায় যান। ঘুম না আসলে বিছানায় গিয়ে এপাশ ওপাশ করলে ঘুমাতে দেরি হয়। প্রয়োজনে সারাদিনের শারীরিক শ্রম বাড়িয়ে দিন। এতে রাতের বেলা স্বাভাবিক ভাবেই আপনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন।
ঘুমানোর আগে বার বার সময় দেখবেন না
অনেকেই ঘুমানোর আগে একটু পর পর সময় দেখেন। কতক্ষণ লাগছে ঘুমাতে, কত ঘণ্টা ঘুমাতে পারবেন ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে ভাবতে মস্তিষ্ককে আরো সচল করে ফেলেন বেশিরভাগ মানুষ। আর তাই ঘুমাতে আরো বেশি দেরি হয়। তাই ঘুমানোর আগে বারবার সময় না দেখাই ঘুমের জন্য ভালো।
ঘুমের আগের কিছু অভ্যাস তৈরি করে নিন
ঘুমানোর আগে কিছু অভ্যাস তৈরি করে নিন। যেমন ঘুমানোর আগে বই পড়া, দুধ খাওয়া, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নেয়া ইত্যাদি। এই অভ্যাসগুলো আপনার ভালো ঘুমে সহায়ক কিছু অভ্যাস। এছাড়াও ঘুমানোর আগে প্রতিদিন এই কাজগুলো করলে আপনার মস্তিষ্কে এমনিতেই সংকেত পৌছে যাবে যে আপনার ঘুমাতে যাওয়ার সময় হয়েছে। ফলে ঘুম নিয়ে তেমন কষ্ট করতে হবে না আপনাকে।
No comments:
Post a Comment