Monday, February 29, 2016

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে বিরত থাকুন ।


( একটি জনসচেতনতা মুলক পোস্ট , সম্ভব হলে শেয়ার করুন )
**************************************

আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছে। কিন্তু জানেন কি এটা কতটা ভয়ংকর হতে পারে আমার আপনার জন্যে ?
মানুষের আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনা এবং ডিএনএ তথ্য একান্ত ব্যক্তিগত সম্পদ। এ তথ্য নিজস্ব ও রাষ্ট্র ছাড়া কারো কাছে থাকাই নিরাপদ নয়। “রাষ্ট্র শুধু এটা প্রটেক্ট করতে পারে বা স্টোর করতে পারে। ওই ডেটাবেজ থেকে যদি কেউ পেয়ে যায় তাহলে তো ডেফিনেটলি ক্রাইম। আঙ্গুলের ছাপ তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে গেলে নানারকম অপব্যবহার হতে পারে। রিস্কটা হলো অন্য একটা অজানা লোক আমাকে ইমপার্সনেট করতে পারে সে প্রিটেন্ড করতে পারে যে আমি অমুক বা আমি তমুক । আমার অনুমতি ছাড়াই করতে পারে। সাধারনত আমার যত যায়গায় ডিজিটাল ইনফরমেশন আছে স্টোর করা আছে সব অ্যাকাউন্ট চাইলে সে নিয়ে নিতে পারে। ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে শুরু করে ডিপিএস বলতে গেলে ডিজিটাল পদ্দতিতে করা আমার সকল ইনফরমেশন সে নিয়ে নিতে পারবে । এ রিস্ক কিন্তু শুধু আমার আপনার না সবার ক্ষেত্রে হতে পারে। ইভেন একজন কৃষকেরও হতে পারে। দেখা যাবে উনি লোন নিয়ে বসে আছেন উনি জানেনই না”। দেখা গেছে আপনার ভর্তুকি এসেছে ১০ লাখ কিন্তু সেখানে আপনার সাইন ও ফিঙ্গার দেওয়া আছে যা আপনি জানেনইনা । তখন বাধ্য হয়ে আপনাকে সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল আমার ফিঙ্গার যদি থার্ড পার্টির হাঁতে যায় তখন যে কোন ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী গ্রুপের হাঁতে ও পরতে পারে , সে ক্ষেত্রে আমি অবশ্যই বিপদে পরবো । সন্ত্রাসী গ্রুপ যে কোন সময় ইচ্ছা করলেই আমাকে জঙ্গি বানিয়ে দিতে পারে । হয়ত ঘটনা ঘটেছে আরেক দেশে আর ফিংগার প্রিন্টের ক্লোন বানিয়ে ছেড়ে দিবে ঐ ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা আছে ।
পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে পাকিস্তান ২০১৩ সালে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছে। তারপর থেকে সারা বিশ্ব যখনই কোন সন্ত্রাসী/জঙ্গি ধরা খায় সেখানেই পাকিস্তানীদের আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া যায়।
বর্তমান পৃথিবীর তথ্য-প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ উন্নত জাতি ইউরোপ/আমেরিকানরা জাতীয় নিরাপত্তার ভয়ে এখনো সাহস করেনি বায়োমেট্রিক সিম রেজিষ্ট্রেশন করার। আর আমাদের অবৈধ সরকার পাকিস্তানকে অনুসরন করে সেই পথেই এগুচ্ছে । অথচ মনে প্রানে নাকি তারা পাকিস্তান বিরোধী ।
যতদুর জানি আমাদের দেশের বায়োমেট্রিক সিম রেজিষ্ট্রেশনের কাজটা করছে ভারতীয় কোন কোম্পানী। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে যে বিশ্বের যে কোন স্থানেই বোমা বিষ্ফোরন ঘটলে পরে সেখানে দুই একটা বাংলাদেশীর হাতের ছাপ পড়ে থাকবে। অসম্ভভ কোন ব্যাপার হবে না সেটা। ডেটাবেজ তো থাকছেই ভারতীয়দের কাছে। এমনকি দেশের ভিতরে কোন খুন-বোমা বিষ্ফোরন ঘটলেও সেখানে এমনি এমনি কারও হাতের ছাপ আবিষ্কার করে ।
এনশিওর করতে হবে যে গর্ভমেন্ট ছাড়া আর কেউ কোনো পাবলিক ইনফরমেশন স্টোর করছে না কোনো অপারেটর বা যারা এরমধ্যে কাজ করছে, ইভেন মিডলে যারা আছে। কারণ এই ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রসেসটা কিন্তু থার্ড পার্টিরা ইমপ্লিমেন্ট করে দিয়েছে । সো এই ব্যাপারে সবাইকে সাবধান হতে হবে । আর যেহেতু এই ব্যাপারে আমাদের দেশের এই সরকারের উপর আমাদের কোন আস্থা নেই তাই অবশ্যই আমাদের কে এই কাজ থেকে বিরত থাকাই উচিত । শুধুমাত্র নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের কে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করি ।
ভোটার আইডি করার সময় আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছি। সীম রেজিঃ করতে ভোটার আইডি নং দিলেই যথেস্ট। কারন ভোটার আইডির নম্বর ধরে, ভোটার আইডির সার্ভারে আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট শনাক্ত করা সম্ভব। তবে কেন আমি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে নিজেকে ঝুকির মধ্যে ফেলবো?
এ ক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানীগুলো যুক্তি দিতে পারে যেমন -
" আমাদের সীম কেনার সময় সিগনেচারের পাশাপাশি আঙুলের ছাপ দিয়ে ই সিমের কাগজ পত্র করা হতো ! তাহলে এখন কেন আঙুলের ছাপ দিতে সমস্যা ?"
এটার সঠিক উত্তর হল --
" সিমের ডকুমেন্ট এ দেয়া আঙুলের ছাপ আর ডিজিটাল বায়োমেট্রিক আঙুলের ছাপ এক বিষয় নয় । কাগজের ছাপকে শুধু পরীক্ষা করা যায় , কিন্তু কাজে লাগানো যায় না । বায়োমেট্রিক পদ্ধতি করা আঙুলের ছাপকে যে কোন স্থানে ব্যাক্তির অবর্তমানে ব্যবহার করা যায় অতএব আমরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি মানি না।"
আমার ফিঙ্গার সো সিদ্ধান্ত আমার আমি এর বিরুদ্ধে ,
এবার আপনার পালা , ফিঙ্গার আপনার সো সিদ্ধান্ত ও আপনার ,
আপনার জীবনের নিরাপত্তা অবৈধ কোন সরকার নিবেনা ।
আপনার জীবনের নিরাপত্তা আপনাকেই নিতে হবে ।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনকে না বলুন ।।
(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত)

No comments:

Post a Comment

Popular posts