৪৫ বছরের প্রবীণ বাংলাদেশ, আর কত চলবে এডহক ভিত্তিতে? বাংলাদেশ ব্যাংকে এতবড় রিজার্ভ লুটের কেলেঙ্কারী হলো, গভর্নর সহ ২ জন ডেপুটি বিদায় হলো, সারা বিশ্বজুড়ে চলছে বাংলাদেশ কেলেঙ্কারী নিয়ে সমালোচনার ঝড়, সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে
তার যোগ্যতা কি? তিনি অর্থসচিব ছিলেন মাল মুহিতের অধীনে ২ বছর, এখন সোনালী ব্যাংকের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান। শিক্ষাগত যোগ্যতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ দ্বিতীয় শ্রেনী। ৭১ সালে মেট্রিক ১ম বিভাগ, ৭৩এ ইন্টারমিডিয়েট ২য় বিভাগ, ৭৬ সালে বিএ অনার্স ২য় বিভাগ। ৮০ সাল থেকে ৮৩ সহকারী ট্রাফিক সুপার পদে বাংলাদেশ রেলওয়ের চাকরি। তারপরে ৮২ সালে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে নিয়মিত ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের চাকরি। মেধাক্রম ১৮। চাকরি করেছেন বিএনপির গত আমলে দেড় বছর করে কিশোরগঞ্জের ডিসি, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে উপসচিব, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে যুগ্মসচিব। এরপরে আওয়ামীলীগ আমলে এসে ভাগ্য খোলে- অফিসারের ক্রাইসিসের সময়ে অতিরিক্ত সচিব হয়ে অর্থ বিভাগে পৌনে ২ বছর, বিসিএস একাডেমীতে ডিজি দেড় বছর, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাল মুহিতের অর্থসচিব। এরপরে সোনালী ব্যাংকের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের অর্নামেন্টাল পার্ট টাইম চাকরি।
ফজলে কবির সাহেব চিটাগাঙ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় শ্রেণীর অর্থর্নীতিতে এমএ ৭৭ সালে। মেট্রিকে ফার্স্ট ডিভিশন (৭১ সালের পরীক্ষা, তাই না গুণলেও চলে), আর কোনো উচ্চ শিক্ষা বা ডিগ্রি নাই। মোট কথা ওভার অল সেকেন্ড ডিভিশন। ব্যাচমেটরা বলেন, নেহায়েত সাদামাটা গোবেচারা এক সাধারন সরকারী অফিসার। তাকে দেয়া হচ্ছে গভর্নরের দায়িত্ব। এত বড় ক্রাইসিসের সময় একজন ক্লারিকেল টাইপের রিটায়ার্ড লোককে গভর্নরের মত পদে বসানো, আশে পাশে চালু হিন্দু অফিসারদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে তিনি যে কি লেজে গোবরে অবস্থা করবেন, আল্লাহই মালুম। তাকে যারা চিনেন, ভেবে আঁতকে উঠছেন! কেবল মাল মুহিতের সাথে ২ বছর সচিবগিরি করেছেন, এটাই তার একমাত্র যোগ্যতা। তবে ফজলে কবিরের সচিবগিরির সময়েই ব্যাংকিং খাতের লুটপাট ওঠে চরমে। অযোগ্য এক ফাইন্যান্স সেক্রেটারী। উনি গভর্নর তো হবেন না, হবেন মাল মুহিতের একজন সাপোর্টিং স্টাফ।
খেয়াল করুন, পাকিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধান ৩৫ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, ভারতের সেন্ট্রাল বাংকের প্রধান ব্যাংকিংয়ে পিএইচডি এবং একাধিকবার গোল্ড মেডেলিষ্ট। আর বাংলাদেশের গভর্নর অল থ্রো ২য় শ্রেনী। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি তো কোনো ক্লারিকেল জব নয়। দেশের মুদ্রা ব্যবস্খাপনা, রিজার্ভ, ক্রোডট ম্যানেজমেন্ট, ক্যাপিটেল ব্যাংকিং, সকল ব্যাংকগুলো চালানো, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আইএমএফের সাথে দেন দরবার--নানাবিধ সিরিয়াস জব। বলতে গেলে অর্থ মন্ত্রীর চেয়ে অধিক ও জটিল কাজ। গভর্নর হতে হলে হয় দীর্ঘ ব্যাংকিং নয়তো দীর্ঘদিনের অর্থজ্ঞান থাকা জরুরী, ৪০ বছর আগের মাষ্টার্স ডিগ্রি যথেষ্ট নয়।
বুঝিনা, গভর্নর করার মত কোয়ালিফাইড লোক কি বাংলাদেশে আর নাই, নাকি বাছাই কমিটি করে লোক খুঁজে বের করলে আ’লীগার পাওয়া যাবে না? কবির সাহেব নেহায়েত ভদ্রলোক--কি ডোবান যে ডোবাবেন, সময় হলেই দেখা যাবে। অবস্থা হইছে এমন যে, লগ্ন চলে যাচ্ছে, মেয়ে বিয়ে দিবে তো বর পাওয়া যাচ্ছে না। কাছে আছে কাজের ছেলে, দে ওর মাথায় টোপর!
No comments:
Post a Comment