সারাদেশে ভূমি সম্পর্কিত নানান জটিলতায় বাংলাদেশের মানুষকে নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। এবার ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি সম্পর্কিত নানান কাজ যেমন ভূমির খাজনা জমা, নামজারি ফি জমা এবং ভূমির নকশা ইত্যাদি অনলাইন কেন্দ্রিক করতে যাচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে ইতোমধ্যে ভূমির খাজনা, নামজারি ফি ইত্যাদি অনলাইনে পরিশোধ করার লক্ষ্য নিয়ে কাস্টমাইজ সফটওয়্যার উন্নয়েনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সফটওয়্যার এর কাজ শেষ হলেই প্রথম পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হবে এবং এটি ঢাকার বারিধারা থেকে শুরু হবে।
সম্পূর্ণ প্রকল্পের বিষয়ে ভূমি রেকর্ড এবং জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এম এ মান্নান বলেন, “আমরা দেশের মানুষকে অনলাইনে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে নেয়ার সুযোগ দিতে ইতোমধ্যে প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছি। আমাদের এ বিষয়ে একটি পাইলট প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সফটওয়্যার তৈরি হলেই ঢাকার বারিধারা থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে জনসাধারণকে অনলাইনে ভূমির জরিপ, খাজনা পরিশোধ এবং নামজারি ফি সহ অনলাইনেই ভূমির নকশা দেখার সুযোগ করে দিতে পারবো।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের সকল মানুষকে ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য দেয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলার তহসিল অফিসের রেজিস্ট্রার বুক-২ কম্পিউটারাইজড করা হবে। এরপর নিজস্ব সফটওয়্যারে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হবে। জমি বেচা-কেনা, বায়নাপত্র, চুক্তিপত্রসহ নানা ক্ষেত্রের নিবন্ধন ফিও অনলাইনে পিরশোধ করা যাবে।”
এছাড়া ভূমি ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এ পর্যন্ত দুই লাখ চার হাজার মৌজা ম্যাপের মধ্যে সিএস এবং এসএ জরিপের এক লাখ ১৫ হাজার ম্যাপ কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করতে ইতিমধ্যেই দেশের আরো আরএস জরিপের ৮৯ হাজার ম্যাপ ডিজিটালাইজড কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এখন যে কেউ মাত্র ৩১০ টাকা ফি জমা দিয়ে ১৫ মিনিটেই সংগ্রহ করতে পারছেন নিজ মৌজার জমির ম্যাপ।
এক যায়গায় থেকে ভূমির সকল সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় অত্যন্ত সচেতন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জমির নিবন্ধন বিষয়ক সকল কাজ আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রনালয়ে স্থানান্তরের সকল প্রক্রিয়াও সমাপ্ত করে আনছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে কিছুদিনের মাঝেই ভূমির নামজারি সহ নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত হবে এবং দুই মন্ত্রনালয়ে কাগজ নিয়ে যেতে হবেনা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, অনলাইনেই ভূমি সংক্রান্ত সকল সুবিধা দেয়া হলে দালাল এবং দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির সুযোগ এবং দীর্ঘ সময় ব্যয় অনেকটা কমে আসবে।
No comments:
Post a Comment