হিট, ফ্লপ এই নিয়েই কি বলিউড? সে তো বটেই। এর বাইরেও আরও এক ধরনের ছবি মুক্তি পায় যেগুলো সেন্সর বোর্ডের লাল চোখ এড়াতে পারে না।
হিট, ফ্লপ এই নিয়েই কি বলিউড? সে তো বটেই। এর বাইরেও আরও এক ধরনের ছবি মুক্তি পায় যেগুলো সেন্সর বোর্ডের লাল চোখ এড়াতে পারে না। অতিরিক্ত সাহসী, অশ্লীলতা, যৌনতা, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ছোট করা-সহ আরও একাধিক কারণে সেই সব ছবিগুলোকে ‘ব্যান’ করে দেওয়া হয়। বলিউডের সেই সব ব্যান ছবিগুলিরই কয়েকটি একনজরে দেখে নেওয়া যাক। এগুলো অবশ্য পরবর্তীকালে প্রশংসিতও হয়।
কামসূত্র (১৯৯৬) : মীরা নায়ারের ছবি ‘কামসূত্র, আ টেল অফ লাভ’। প্রাচীন ভারতের শেষ অধ্যায়ের উপরে আধারিত এই ছবিটি জুড়ে ছিল যৌন দৃশ্য। যা ভাল চোখে মেনে নেয়নি সেন্সর বোর্ড।
ব্যান্ডিট কুইন (১৯৯৪)— ফুলন দেবীর জীবনের উপরে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল ‘ব্যান্ডিট কুইন’। ছবিটি মুক্তির আগেই সেন্সর বোর্ড তা আটকে দিয়েছিল। শেখর কপূরের এই ছবিটি জুড়েই ছিল অকথ্য এবং নোংরা গালিগালাজ। এখানেই থেমে থাকেনি। ব্যান্ডিট কুইন ছবিতে এমন কিছু নগ্ন দৃশ্য ছিল, যা সেন্সর বোর্ডের চোখে দৃষ্টিকটূ।
এখানেই শুধু নয়, বিতর্কের অন্য দিকও রয়েছে। ফুলন দেবী স্বয়ং এই ছবির সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেই সময়ে। সব মিলিয়ে সেন্সর বোর্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছবিটি।
ফায়ার (১৯৯৬): ‘ফায়ার’ ছবিটি ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হুমকি দিয়েছিল। ফলে ব্যান করে দেয় সেন্সর বোর্ড। এই ছবিতে দুই মহিলার সমকামিতা দেখানো হয়েছিল।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে (২০০৪) মুম্বই বোমা বিস্ফোরণের কথা মাথায় রেখে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল। জঙ্গি নাশকতার নগ্ন ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। আর সেই জন্যেই সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়।
সিনস (২০০৫): কেরলের এক যাজককে নিয়ে গড়ে উঠেছিল ছবিটির গল্প। সেই যাজকটি এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়। ক্যাথলিক কমিউনিটি প্রতিবাদ জানায়। ফলে ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
No comments:
Post a Comment